প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

্মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলাধীন টেপরী গ্রামটিঅনুন্নত পল্লীর নিভূত এলাকায় অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিমি পূর্ব দিকে। ১৯৬৭ সনে মরহুম আব্দুল খালেক সাহেব এক মহতী উদ্যেগ নিয়েছিল একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্য। চিন্তা চেতনা থেকে গ্রাম বাসীর সহায়তায় নিজ ভূমিতে ও নিজ অর্থায়নে শিক্ষার আলোর প্রদীপ জ্বালানের প্রয়াসে তার বাবার নামে ০১-০১-১৯৬৮ সনে মৌলভী আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় টেপরী নামে বিদ্যালয়টির নামকরণ করেন।প্রথমে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে ছিল।১৯৭০ সনে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত হয়। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে একধরণের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করাতে যথেষ্ঠ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিবাভকগনের মধ্যে ইতি বাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংসনীয় অবদান রাখছে। সব কিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা শিক্ষকগণের একাগ্রতা শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও অভিবাভকগনের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযক্ত ভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্যে । এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা। এলাকা বাসী মরহুম আব্দুল খালেক সাহেবের নাম আজ ও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সভাপতির বাণী

ঐতিহ্যবাহী মৌলভী আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়টি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলাধীন কলিয়া ইউনিয়নের টেপরী গ্রামে অবস্থিত।বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমার পিতা মরহুম আব্দুল খালেক একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি দেখলেন তার টেপরী গ্রাম ও এর আশে পাশে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। অধিকাংশ দরিদ্র কৃষক শ্রমজীবী জনগোষ্ঠি শিক্ষা ছাড়া ভাগ্য উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তাই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে এই স্নিগ্ধ শ্যামল প্রাকৃতিক পরিবেশে তার পিতার নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন অর্থাৎ যার নাম মৌলভী আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়। বলতে গেলে নিজ ভূমিতে নিজ অর্থায়নে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তার অবদানই সর্বজন স্বীকৃত।সংস্কৃতি ঐতিহ্য মূল্যবোধ অর্থনীতি ও সমাজনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সন্তানদেরকে আদর্শ নাগরিক রুপে গড়ে তোলা বিশেষ করে নৈতিক অবক্ষয় থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা ও নারীকে পরিপূর্ণ শিক্ষায় শিক্ষিত করে চারিত্রিক উৎকর্ষ ও মূল্যবোধ তৈরীর বাস্তব উদ্যেগই হোক এ প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা- এ দোয়াই করছি, আমিন।
প্রধান শিক্ষকের বাণী

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। শিক্ষা মানুষের অর্ন্তনিহিত শক্তিকে জাগ্রত করে তার মূল্যবোধকে এবং উন্মিলন ঘটায় মানুষের জ্ঞান চক্ষুর।এর ফলে মানুষ আত্নপ্রকাশের তাগিদ অনুভব করে অন্তরে । তার মনের পাখিটির পাখা চায় মুক্ত আকাশে। মানুষের এই আকুতিই সত্যিকার অর্থে রুপ লাভ করে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে। কারণ মানুষের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন এবং সৃজনী শক্তির উন্মেষ ঘটানোর ক্ষেত্রে সাহিত্য চর্চার কোন বিকল্প নেই। আমার কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী, অভিবাভকবৃন্দ ও এলাকাবসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ।